জানা-অজানাটপ লিডদেখা-অদেখামহেশপুর

মহেশপুরে পাবদা মাছ চাষ করে বিল্পব ঘটিয়েছে ১৫ চাষি \ রপ্তানি করা হচ্ছে ভারতে

জিয়াউর রহমান জিয়া, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া ও বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নে পাবদা মাছ চাষ করে বিল্পব ঘটিয়েছে করছেন ১৫ জন মাছ চাষি। এ পাবদা মাছ চাষিদের সহযোগিতা করছেন উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। গত এক বছরে ৫কোটি টাকারও বেশী পাবদা মাছ ভারতে রপ্তানি করেছে মহেশপুরের ১৫জন মাছ চাষি। তাদের আশা এ বছর ৮কোটি টাকার পাবদা মাছ তারা ভারতে রপ্তানি করতে পারবে।

পাবদা মাছ চাষি বাগান মাঠ গ্রামের জাহেদ আলী জানান, আমরা প্রথমে ২/৩জন পাবদা মাছের চাষ করেছিলাম। তখন আমাদের মাছ আমরা এলাকাতেই বিক্রি করেছিলাম। পরে ভারতের বনগা ও বারাসাতের মাছ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা আমাদের মাছ দেখে যান। এর পর আর আমাদের মাছ ব্যবসায়ীদের খোজা লাগেনি। গত বছর আমরা ১৫ জন মাছ চাষি ২৫ হেক্টর জলাশয়ে মাছ চাষ করেছিলাম। ২৫ হেক্টর জলাশয় থেকে ১৩০মেঃটন মাছ আমরা ভারতের বনগা ও বারাসোতে রপ্তানি করেছি। তিনি আরো জানান,১৩০ মেঃটন মাছ আমরা ভারতে ৩৬০ টাকা কেজি দরে রপ্তানি করে ৫ কোটি টাকারও আয় করেছি। আশা করি এ বছর ৭ থেকে ৮ কোটি টাকার মাছ ভারতে রপ্তানি করতে পারবো।

পান্তাপাড়া গ্রামের মাছ চাষি আনোয়ার পারভেজ জানান, প্রতি পিচ পাবদা মাছের পোনা ৯০পয়সা থেকে ১টাকা ২০ পয়সা দরে ময়মনসিংহ গবেষনা ইনস্টিটিউট থেকে ক্রয় করা হয়। ময়মনসিং গবেষনা ইনস্টিটিউটর কর্তৃপক্ষ গাড়িতে করে আমাদের পুকুর পর্যন্ত পৌছায় দেন। পরে ৬ থেকে ৮ মাস পরিচর্যার মাধ্যমে মাছগুলো বড় করে তুলি। তিনি আরো জানান,ভারতের মাছ ব্যবসায়ীরা আমাদের পুকুরে এসে প্রতি কেজি পাবদা মাছ ৩৬০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করে নিয়ে যান। মাছ বিক্রিতে আমাদের কোন খরচ হয়না। এ বছর এলাকায় আরো পাবদা মাছ চাষি বেড়েছে। আশা করি গত বছরের তুলনায় আমরা এবার দ্বীগুন মাছ ভারতে রপ্তানি করতে পারবো।

পাবদা মাছ চাষি আলীউজ্জামান জানান, গত বছর মহেশপুরের পান্তাপাড়া ইউনিয়নে আনোয়ার পারভেজ,আক্তার, সালাম, বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নে জাহেদ আলী, নয়ন, খোকন, শাহাবুদ্দীন, মোসলেম, মজনু,ও সমান,নস্তি গ্রামের নিত্যপদ,শ্রীপুরের সাইফুল,জাগুসা গ্রামের নুর হোসেন ও মহেশপুরের রবিন্দ্রনাথ হালদার এ পাবদা মাছের চাষ করেছিলো। এবছর আরো মাছ চাষির সংখ্যা বেড়েছে।

উপজেলা মৎস্য অফিসার আলমগীর হোসেন জানান, মাছের পোনা ক্রয় থেকে শুরু করে আমরা মাছ চাষিদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে আসছি। গত বছর উপজেলার ১৫ জন পাবদা মাছ চাষি ছিলো। এবছর তা বেড়ে ৩০জন হয়েছে। আশা করি এবছর আমার এলাকার পাবদা মাছ চাষিরা প্রায় ১০ কোটি টাকার মাছ ভারতে রপ্তানি করতে পারবে। তিনি আরো জানান, প্রতি পিচ পাবদা মাছের পোনা ৯০ পয়সা থেকে ১টাকা ২০ পয়সা দরে ময়ময়সিং গবেষনা ইনস্টিটিউট থেকে ক্রয় করা হয়। কিন্তু ময়মনসিং গবেষনা ইনস্টিটিউটর কর্তৃপক্ষ নিজেদের গাড়িতে করেই তা চাষিদের পুকুর পর্যন্ত পৌছে দেন। ফলে চাষিদের মাছের পোতা আনার খরচটা বেচে যায়। আমার বিক্রয়ের সময় ভারতের ব্যবসায়ীরা পুকুর পাড়ে এসে তা ক্রয় করে নিয়ে যান। ফলে এলাকার অনেকেই এখন পাবদা মাছ চাষের দিকে ঝুকে পড়ছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button