শৈলকুপায় বিধবা শাশুড়ীকে নিয়ে ধর্ম জামাই উধাও!
হাসানুর রহমান, ঝিনাইদহের চোখঃ
দেড়ে বছর আগে আকারুল ও আসমার সাথে ধর্ম জামাই-শাশুড়ী সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নিজ নিজ ঘরে সাবালক সন্তাানও রয়েছে তাদের। কিন্তু স্ত্রী ছেড়ে বিধবা ধর্মশ^াাশুড়ির প্রতি আকারুলের আসক্তির খবর কেও টের পায়নি। সুযোগ বুঝে স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে বিধবা ধর্ম শ^াশুড়ি নিয়ে উধাও হয়ে গেলেন আকারুল। তারপর থেকে ৩ সন্তান নিয়ে অসহায় অবস্থায় আছে আকারুলের স্ত্রী ববিতা।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। আকারুল হোসেন (৪০) ওই গ্রামের মৃত মজিবর শেখের ছেলে ও ধর্ম শাশুড়ী আসমা খাতুন (৩৫) একই গ্রামের মৃত ফারুক হোসেনের বিধবা স্ত্রী। আকারুল ইসলাম পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী।
গ্রামবাসী জানায়, গত ১ বছর আগে আকারুলের সাথে ধর্ম জামাই সম্পর্ক গড়ে বিধবা আসমার। আসমার স্বামী না থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। শাশুড়ী আসমার পরিবারে কর্মক্ষম ব্যক্তি না থাকায় সংসারের সব কাজ ধর্ম জামাই আকারুলই করতো। ফলে তার বাড়িতে রাতে দিনে যাতায়াত ছিল অবাধ। বিধবা আসমার দেবর মিলন হোসেন জানান, তার ভাই দেড় বছর আগে মালেশিয়ায় কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সেই থেকে ভাবি দুই মেয়েকে নিয়ে নিজের সংসার নিজেই দেখভাল করতে থাকেন।
মিলনের ভাষ্যমতে সাংসারিক বিষয় নিয়ে কোন আলাপ আলোচনা তার ভাবি করে না বরং ধর্মজামাইকে নিয়ে তার ওঠাবসা। তিনি আরো বলেন, ভাবি শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে মায়ের বাড়িতে যাই। সেখান থেকেই লম্পট আকারুলের সাথে পালিয়েছে। রাজমিস্ত্রী আকারুলের স্ত্রী ববিতা খাতুন জানান, আমার স্বামী বাইরে কাজ করার কথা বলে নিরুদ্দেশ হয়েছে। যাওয়া সময় নগদ টাকা নিয়ে গেছে। বিধবা আসমা সংসার ভাঙার জন্য আমার স্বামীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এখন আমি সন্তানদের নিয়ে পানিতে পড়েছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রাশিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আমরা গ্রামের মানুষ বিব্রত। লোকমুখে শুনেছি রাজমিস্ত্রী আকারুল বিধবা ধর্মশাশুড়ী পাতিয়ে আসমাকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। নিত্যানন্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জানান, ৩ মাস আগে ওদের বিষয়ে পরিষদে সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে তাদের সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠে। তারা সমাজে সুন্দরভাবে বসবাস করবে এমন মুচলেকা দিলে ঘটনাটি মিমাংশা হয়।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রহমান জানান, জামাই ধর্ম শাশুড়ী নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি কেউ থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে দেখা যাবে।