শৈলকুপায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিল্ডিং নির্মাণের অভিযোগ
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের আলমডাঙ্গা বাজারে মুক্তিযোদ্ধা মৃত নুরুল ইসলামের জমি জোরপূর্বক দখল করে বিল্ডিং নিমাণ করছেন প্রতিপক্ষ বিবাদী বাবুল হোসেন ও নাছির হোসেনসহ বেশ কয়েকজন।
শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চরগোলকনগর গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মিজানুর রহমান মজনু অভিযোগ করে বলেন, আমার ৯নং আলমডাঙ্গা মৌজায় যার সাবেক দাগ নং- ৯৫৩, ৯৫৬, ৯৫৭, ৯৬০ ও ৯৬১ এবং হাল দাগ- ৪৮৯ নং এ ১ একর ৪৬ শতকের মধ্য ১৯ শতক রেকর্ড পেয়েছি। কিন্তু সরেজমিনে দখল পেয়েছি প্রায় ৩ শতক জমি। এর ভিত্তিতে গত ১৮ ফ্রেবুয়ারি ২০২০ ইং তারিখে দেওয়ানি মোকদ্দমা করি। যার নং- ৪৬/২০।
আদালত বাদী পক্ষের প্রার্থনা মোতাবেক কেন বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হবে না অত্র নোটিস প্রাপ্তি ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে ২৭ ফেব্রæয়ারি ২০২০ ইং তারিখে উভয় পক্ষকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয় বিজ্ঞ আদালত। কিন্তু মির্জাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন ও একই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বক্কর ও সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে ক্ষমতার দাপটে আইনকে অমান্য করে বিবাদী প্রতিপক্ষ বাবুল হোসেন ও নাছির হোসেনকে ওই জমিতে বিল্ডিং নির্মাণের সহযোগিতা করছে তারা।
এঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বক্কর ও সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান থেকেই একটি শালিশ করেছি। তবে ওই জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে কিনা তা আমার জানা ছিল না।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বক্কর ও সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা অস্বীকার করে বলেন আমরা এই শালিশে উপস্থিত ছিলাম না।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার এস আই সামছুর রহমান জানান, তিনি আদালতের নিষেধাজ্ঞা পেয়ে সেখান যান। কয়েক দফায় উক্ত জমিতে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য উভয়পক্ষকে নোটিশ করেন। কিন্তু বিবাদী পক্ষ জোরপূর্বক আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উক্ত জমিতে বিল্ডিং নির্মাণ করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এভাবেই তারা একের পর এক বাদীকে হেনেস্তা করে চলেছে। আমি প্রয়োজনে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদালতকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানাবো।