ধর্ম ও জীবন

ইসলামের নামে দলাদলির কারণ ও তার প্রতিকার

ঝিনাইদহের চোখঃ

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা নিজ কালামে এরশাদ করেন, واعتصموا بحبل الله جميعا ولا تفرقوا.———الخ

অর্থ : আর তোমরা সকলে আল্লাহর রশি দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না । আর তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর, তোমরা ছিলে পরস্পর শত্রু। অত:পর তিনি তোমাদের হৃদয়ে প্রীতির সঞ্চার করেন, ফলে তার অনুগ্রহে তোমারা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে । তোমারা তো অগ্নিগর্তের দ্বারপ্রান্তে ছিলে তিনি তোমাদেরকে তা থেকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তার নিদর্শনসমুহ স্পষ্টভাবে বিবৃত করেন যাতে তোমরা হেদায়েত পেতে পার। (সূরা- আলে ইমরান ৩/১০৩)

এ আয়াতটিতে লক্ষনীয় বিষয় হলো ‘হাবলুল্লাহ’ যে সম্পর্কে সুন্নাতে বলা হয়েছে كتاب الله، هوحبل الله الممدودمن السماء إلى الأرض আল্লাহর কিতাবই হাবলুল্লাহ তথা আল্লাহর রজ্জু, যা আসমান থেকে পৃথিবী পর্যন্ত বিস্তৃত। (সহীহুল জামে হা/৪৪৭৩)

আর এটাই মহান স্রষ্টার দেওয়া গঠনতন্ত্র বা ম্যানুয়াল যা ধারণ করে তিঁনি আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে নির্দেশ করেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে দলের নেতারা ইসলামের নামে আলাদা আলাদা দলীয় গঠনতন্ত্র তৈরি করে উপরোক্ত আয়াতের অপব্যাখ্যা করে ‘হাবলুল্লাহ’ ছেড়ে আব্দুল্লাহর দিকে আহব্বান করছে।

ইসলামের নামে দলকারি, ধর্ম ব্যবসায়ী দলীয় নেতার নিজ দলের দিকে আহব্বানকারী ভাড়াটিয়া দায়ীদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার কারণে ইসলামের দাওয়াতের চেয়ে দলীয় দাওয়াত বেশি হচ্ছে। অথচ আল্লাহ পাক আমাদেরকে ইসলামের নামে দলাদলি করতে নিষেধ করেছেন। বরং এটাকে একপ্রকার শিরক বলে আল্লাহ পাক নিজেই বলেছেন। (রুম ৩০/৩১-৩২)

অথচ সহীর নামে একদল দায়ীদের দেখা যাচ্ছে কয়েকদিন পর পর একদল ছেড়ে অন্য দল তৈরি করে যাচ্ছে। তারাই আবার শিরকমুক্ত হওয়ার কথা বলছে ঠিকই, কিন্তু ইসলামের নামে দলাদলি করা যে শিরক এ সত্যটা কেনো জানি তারা বুঝতে চাচ্ছে না!
করনীয় কী?

আমাদের ইসলামী দাওয়াতের জন্য দলাদলীমুক্ত দায়ী তৈরি করতে হবে। তাদেরকে জনগণকে কুরআন-সুন্নাহ শিক্ষা ও ইসলামী আদর্শ নাগরিক তৈরির জন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে হবে। মুসলিম উম্মাহ ফাউন্ডেশন উক্ত প্রচেষ্টা প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থী।

দ্বীনি ভাই বোনেরা যারা বিষয়টি বুঝতে ও উপলব্ধি করতে পারছেন এবং খালেছভাবে আল্লাহ পাক প্রদত্ত ও রসূল (সা.) প্রদর্শিত দলাদলিমুক্ত দ্বীন প্রতিষ্ঠার চিন্তা করেন তাদের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসার উদত্ত আহবান রইল।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লা আমদের সকলকে সেক্টারিয়ান ইসলামি দলাদলিমুক্ত হয়ে শুধুমাত্র তাঁর নাযিলকৃত সর্বশেষ চুড়ান্ত দ্বীন ইসলাম মেনে মুসলিম হয়ে মরার তাওফিক দান করুন! (৩/১৯ও৮৫)

آمین یا رب العالمین

লেখক : মুরাদ বিন আমজাদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button