জমতে শুরুর করেছে শৈলকুপা কাতলাগাড়ী কোরবানি পশুর হাট
টিপু সুলতান, ঝিনাইদহের চোখ-
ঈদের বাকী আর মাত্র কয়েকদিন। এরই মধ্যে কোরবানির হাটে বেচাকেনা জমে উঠেছে। গতকাল থেকে পুরোদমে শুরু হয়েছে কেনাবেচা। ঝিনাইদহের শৈলকুপার কাতলাগাড়ী পশুর হাটে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। তারা সময় নিয়ে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের কোরবানির পশু দেখছেন, দরদাম করছেন। অনেকে অল্প সময়ের মধ্যে পশু কিনেও নিচ্ছেন।
ব্যাপারীরা বলছেন, সোমবার (২৭ জুলাই) ক্রেতা সমাগম বেড়েছে। বেড়েছে বিক্রিও। তবে বড় গরুর কাছে ক্রেতা আসছে কম। তারা আরো অপেক্ষা করবেন। দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মধ্যেই খুশির ভাব দেখা গেছে। সোমবার দুপুরের পর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিতি ও দরকষাকষি করে গরু-ছাগল বেচাকেনা চলছে।
বিক্রেতারা বলছেন, দেশি গরুর চাহিদা বেশি। দামও লাখ টাকার ওপরে। তবে দাম একটু বেশি বলে অভিযোগ করছেন অনেক ক্রেতা। বেশির ভাগ ক্রেতাই দেশি ও বিদেশি গরুর সংমিশ্রণে ক্রস প্রজাতির ও ছোটো সাইজের গরু কেনার প্রতি ঝুঁঁকছেন। তবে অনেকেই পশুর দাম ও আর্থিক সঙ্গতির হিসাব মেলাতে না পেরে একাধিক হাটে ঘুরছেন। শেষ মুহূর্তে যদি অর্থের সঙ্গে পছন্দ মিলে যায় সেই আশায়।
দুপুরে সরেজমিনে কাতলাগাড়ী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। ছোটো সাইজের গরু ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার, মাঝারি থেকে বড় ধরনের ক্রস গরু আকারভেদে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা ও দেশি গরু ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রকিব উদ্দিন নামে এক ক্রেতা জানান, তিনি সব সময় দেশি গরু কোরবানি দেন। তাই বাজার ঘুরে ঘুরে বাছাই করে পছন্দসই গরু কেনেন।
এবারও কাতলাগাড়ী থেকে প্রায় ১ লাখ টাকায় গরু কিনেছেন বলে জানান। বিক্রেতারা বলছেন, এবার ভারতীয় গরু না আসায় দেশি ক্রস প্রজাতির গরু বেশি উঠেছে। গতবারের চেয়ে দাম একটু কম। ক্রেতারা যেভাবে হাটে আসছেন, তাতে তারা আশাবাদী দাম পাওয়ার ব্যাপারে। এবার গরুর তুলনায় ছাগলের বিক্রি বেশী। কুষ্টিয়া থেকে আসা ব্যবসায়ী আলাউদ্দীন কাতলাগাড়ী পশুর হাটে যান সকাল ১২টার দিকে। তিনি দুপুর দেড়টার পরে গরু কিনেছেন। দেখেছেন অনেকক্ষণ দরদাম করেছেন। দুটো গরু তার বাজেট অনুযায়ী পছন্দ হয়েছিল। এর মধ্যে ৭০ হাজার টাকায় একটি কিনেছেন। হাট মালিক ওয়াহিদুল ইসলাম কেনাবেচায় সন্তুতি প্রকাশ করে জানান, ক্রেতা বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে মুখর হাট। ২৪ ঘন্টা চলমান হাটে দুরদুরান্ত থেকে ব্যাপারী ও ক্রেতারা আসছেন।
কঠোর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে হাটকমিটির সদস্য ও পুলিশ বাহিনী। তিনি নির্বিঘেœ ক্রেতা ও বিক্রেতাদের এ হাটে এসে পশু বিক্রির আহŸান জানান।
আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্বে থাকা শৈলকুপা থানার এসআই ইদ্রিস হোসেন জানান, করোনায় ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাস্ক ব্যবহারে কঠোর অবস্থান পুলিশ। এছাড়া মলম পাটি, জাল টাকা ও পকেটমারের ব্যাপারে তৎপর রয়েছে প্রশাসন।