এম হাসান মুসা, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
গ্রামের নামে ইউনিয়ন অথচ সেই গ্রামের নেই কোন রাস্তা-ঘাট, এমন কি ভাল কাঁচা রাস্তাও ছিল না । গ্রামবাসী বর্ষাকালে কাঁদা-পানি পাড়ি দিয়ে যাতায়ত করে । আর বছরের বাকী সময় ধুলোবালি, উচু-নীচু ঢিবি পাড়ি দিয়ে যাতায়ত করে আসছিল। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন বা কোন ধরনের সরকারী বরাদ্ধ কখনো জোটেনি গ্রামবাসীর কপালে । এটি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের উমেদপুর গ্রাম।
গ্রামটিতে ভোটার মাত্র ৪শত,এমন কম লোকসংখ্যার কারণেই হয়তো সেখানকার বসতিদের কপালে জোটেনি কোন রাস্তাঘাট। জনপ্রতিনিধিদের কাছেও থেকেছে উপেক্ষিত। যুগ থেকে যুগান্তর পার হয়ে গেলেও সেখানকার কৃষক, শ্রমজীবি, খেঁটে খাওয়া মানুষগুলোর যাতায়ত-চলাচলের জন্য হয়নি কোন পাকা রাস্তা। এমনকি ছিল না ভাল কাঁচা রাস্তাও।
আর এমনটি দেখে ব্যাক্তি উদ্যোগে ৯ লক্ষাধীক টাকা খরচ করে গ্রামবাসীর জন্যে রাস্তা করে দিলেন নিয়ামুল করিম টিপু নামের একজন সমাজ সেবক। তিনি দেশের মিকা ফার্মা কেয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপার এই উমেদপুর গ্রামে।
গ্রামবাসী জানান, প্রায় ১কিলোমিটার রাস্তা এখন পাকা হওয়ায় তাদের আনন্দের সীমা নেই । গ্রামটির বয়োজোষ্ঠরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নিয়ামুল করিম টিপুর কাছে। গ্রামবাসী তার প্রো-পিতামহ হাফেজ আব্দুল করিমের নামে সড়কটির নামকরণ করেছেন। শুক্রবার বিকালে রাস্তাটি চলাচলের উদ্বোধন করা হয়। এসময় গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
রাস্তা নির্মাণকারী নিয়ামুল করিম টিপু জানান, ছোট কাল থেকেই দেখে আসছিলেন গ্রামের রাস্তাটির বেহালদশা। কিন্ত সামর্থ না থাকাই কিছু করতে পারেননি। এখন স্বাবলম্বী হওয়ায় গ্রামবাসির জন্য রাস্তাটি করলেন।
গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান, মোজাব্বার আলী সাদি সহ কয়েকজন জানান, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের কাছে বছরের পর বছর ধর্ণা ধরে আসলেও কেউ কথা রাখেনি। তাদের রাস্তা করে দেয়নি। এমন অবস্থায় ব্যাক্তি উদ্যোগে রাস্তা নির্মিত হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে অবহেলিত গ্রামটিতে।