কালীগঞ্জজানা-অজানাঝিনাইদহ সদরটপ লিডদেখা-অদেখা

সামনে নববর্ষ তাই চোখে নতুন স্বপ্ন ঝিনাইদহে ফুল চাষিদের

ঝিনাইদহের চোখ-

সারা বছরই ফুলের চাহিদা কম বেশি থাকে। তবে নববর্ষ, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ফুলের চাহিদা কয়েক গুন বেড়ে যায়। আর আসন্ন ইংরেজি নববর্ষকে সামনে রেখে ঝিনাইদহের ফুল চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুলের যত্ন নিতে। করোনাকালিন, আম্ফানসহ কয়েক দুর্যোগ ও বাজার মন্দাভাব দূর করে এবার লাভের আশা করছেন চাষিরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় সাড়ে তিন’শ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ফুলের আবাদ হয়েছে। কৃষকরা লিলিয়াম, জারবেরা, গ্লাডিওয়ালস, রজনীগন্ধা, গোলাপ, চন্দ্র মল্লিকা, ভূট্টাফুল, গাঁদাসহ নান জাতের ফুলের আবাদ করেছে।

জেলার গান্না বালিয়াডাঙ্গা, সিমলা, রোকনপুর, রাখালগাছি, বিনোদপুর, মনোহরপুর, রাখালগাছিসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠে ফুলের আবাদ হয়। উৎপাদিত ফুল বিক্রির জন্য গান্না ও বালিয়াডাঙ্গায় আলাদাভাবে প্রতিদিন ফুলের বাজার বসে থাকে।

ত্রিলোচনপুর গ্রামের ফুলচাষি টিপু সুলতান জানান, দীর্ঘ ২৭ বছর ফুল চাষ করছেন। তার উৎপাদিত জারবেরা ফুল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠান। গান্না বাজারের ফুল ব্যবসায়ি দাউদ হোসেন জানান, সাধারণত ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ফুলের ব্যবসা ভালো হয়। এ সময় ফুলের দাম ভালো থাকে। তবে এসময় পরিবহনে পাঠাতে গেলে নদী পারাপারে অনেক সময় যানজটে পড়লে লোকসানে গুনতে হয়।

কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালন কৃপাংশু শেখর বিশ^াস জানান, ফুল উৎপাদনে ব্যয় কম, আবার লাভ বেশি হওয়ায় কৃষরা আগ্রহী হচ্ছেন। সারা বছরই কৃষরা ফুল বিক্রি করে থাকেন। তবে বাংলা ও ইংরেজি নববর্ষ, আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসসহ বিভিন্ন দিবসে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। পরিবহন সমস্যা সমাধানে কথা বলেছি, তারা আন্তরিক। আসন্ন দিবসগুলো উপলক্ষে কৃষকরা ক্ষেতের বাড়তি যত্ন নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমরা কৃষকদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা এবং পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button