জানা-অজানাটপ লিডদেখা-অদেখাহরিনাকুন্ডু

ঝিনাইদহে আগুনে পুড়ে পানচাষীদের ৪০ বিঘা পানবরজ ভষ্মিভূত

এইচ মাহবুব মিলু, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের শিতলী গ্রামের মান্দারতলা শীতলি মাঠে থাকা পান বরজে হঠাৎ আগুন ধরে ভশ্মীভূত হয় এঘটনায় ঐ এলাকার কৃষকদের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বিঘা জমির পানক্ষেত সম্পন্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রবিবার দুপুর আনুমানিক ২ টা ৩০ মিঃ সময় বরজের মাঠে পশ্চিম দক্ষীন কোন থেকে আগুনের উৎপত্তি হয় বলে স্থানিয়রা জানায় ।

আগুন জ্বলতে দেখে মানিষের চিৎকার চেচামেচি শুনে এলাকার শতশত পানচাষি একত্রে মিলে আগুন নেভানোর চেষ্ঠা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি পান চাষীদের । পরে মসজিদের মাইকিং শুনে এলাকাবাসি খবর দিলে হরিণাকুণ্ডু ফায়ার সার্ভিস ও ঝিনাইদহ ফায়র সার্ভীসের তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায় । ঘন্টা ব্যাপি চেষ্ঠার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরই মধ্যে প্রায় ৪০ বিঘা জমির পানক্ষেত পুড়ে ছাই হয়ে যায় । এলাকা বাসির ধারণা বিড়ি অথবা সিগারেটের আগুন থেকে বরজে আগুনের উৎপত্তি হতে পারে ।

হরিণাকুণ্ডু ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বিপুল বিস্বাস জানান, এখনও তারা আগুনের সুত্রপান জানাতে পারেনী। এ ব্যাপারে হরিণাকু-ু ফায়ার সার্ভিস এর ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মোঃ
আয়ুব হোসেন চৌধুরী পানক্ষেতে যাওয়ার কোন রাস্তা না থাকায় অনেক দেরী হয়েগেছে ঘটনা স্থলে পৌছাতে। পরে কোন উপায় না পেয়ে ফসলের মধ্যদিয়েই ঘটনাস্থানে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি।

সর্বসান্ত পানচাষিরা হলেন,ঝন্টু,পিতা ইতাহার লস্কার,তার ১৩ কাটা জমির পানক্ষেত পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তাতে তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান,১ লক্ষ টাকার সম পরিমান,মতিয়ার রহমান পিতা আপিল উদ্দিনের পনেরা কাটা(১৫) জমির পানক্ষেত পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আর এত তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমান দাড়ায় প্রায় দুই (২) লক্ষ টাকার মতো,এছাড়াও রতন আলী পিতা মোনার এক বিঘা,মশিউর রহমান,পিতা সিরাজের এক বিঘা,সিদ্দিক পিতা,ফজলা করিম,সেলিম, পিতা গনিরদ্দি, কুরবান, পিতা, গনিরদ্দি,টুলু, পিতা সাকের আলীর দশকাটাসহ শতশত কৃষকের
পানক্ষেত পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ পানচাষি বলেন,আমারসহ আমাদের এলাকার পানচাষিরা শেষ। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাড়ায় তাহলে আমাদের পথেবসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

আগুনের সংবাদ পাওয়ার পরপর উপজেলা চেয়ারম্যান,জাহাঙ্গীর হোসাইন,কৃষি কর্মকর্তা
হাফিস হাসান,প্রকল্প কর্মকর্তা জামাল হোসেন,ইউপি চেয়ারম্যান সরাফত দৌলা ঝন্টু ক্ষতিগ্রস্থ পানচাষিদের কাছে ছুটে যান এবং তাদের শান্তনা দেওয়ার পাশাপাশি সহযোগিতার আস্বাস জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button