সাংবাদিক রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে শৈলকুপায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ
এম হাসান মুসা, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন গণমাধ্যমের কর্মীরা। বুধবার বেলা ১১টায় শৈলকুপা প্রেসক্লাব চত্বরে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন গণমাধ্যমের কর্মীরা।
দুপুর ১১টায় শৈলকুপা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সভাপতি গ্রামের কাগজ প্রতিনিধি এম হাসান মুসার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহিন আক্তার পলাশের সঞ্চালনায় ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মো: মফিজুল ইসলাম, ডিবিসি টেলিভিশনের ঝিনাইদহ প্রতিনিধি আব্দুর রহমান মিল্টন, সমকাল পত্রিকার শৈলকুপা প্রতিনিধি তাজনুর রহমান ডাবলু, এই আমার দেশ পত্রিকার এ এস এম আলিমুজ্জামান প্রমুখ।
সচিবালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও দীর্ঘ সময় আটকে রেখে সাজানো মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়েছে শৈলকুপায় কর্মরত সাংবাদিকেরা। আজ বুধবার প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
কর্মসূচিতে অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়। এ ছাড়া রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহŸান ও পেশাগত দায়িত্বপালনে সব সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রশাসনযন্ত্রের সর্বোচ্চ স্থান হলো সচিবালয়। সেখানে একজন জ্যেষ্ঠ নারী সাংবাদিককে যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, তা নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক। প্রশাসনের গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজের মুখোশ উন্মোচন করে রোজিনা ইসলাম যে হেনস্তার শিকার হয়েছেন, তাতে তাঁর তৈরি করা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো যে সঠিক ছিল, সেটিই প্রমাণিত হয়েছে। তাঁরা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সেই দুর্নীতির খবর প্রকাশ করে সাংবাদিক রোজিনা এ দেশের জনগণের উপকার করেছেন। সচিবালয়ের মতো একটি জায়গায় একজন সাংবাদিকের সঙ্গে এমন ব্যবহারের কারণে এ দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই চিত্রই দেখা যাচ্ছে। রোজিনার মুক্তির দাবি শুধু সাংবাদিকদের দাবি নয়, গণমানুষের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণমানুষের দাবি কখনো বৃথা যায় না ।