ঝিনাইদহের চোখ-
গত বুধবার সুজন দলিলপুরে আসে। শুক্রবার জামাই সুজনের কাছে ৯০ হাজার টাকা রেখে কুষ্টিয়ার আমলায় স্বামীর কাছে ধান আনতে যান তিনি (অমেলা)। সকালে প্রতিবেশীরা খবর দেয় তার মেয়ে সাথী মারা গেছে।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বাবার বাড়ি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার দলিলপুর গ্রামে শনিবার সকাল ১০টার দিকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত সাথী খাতুন ওই গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে। ঘটনার পর থেকে পলাতক তার স্বামী সুজন বিশ্বাস।
সাথীর মা অমেলা বেগম জানান, ছয়মাস আগে মাগুরা শহরের ঢালপাড়া গ্রামের সুজন বিশ্বাসের সঙ্গে সাথীর বিয়ে হয়। কিছুদিন আগে সাথী শৈলকুপায় আসেন। গত বুধবার সুজনও সেখানে আসেন।
আমেলা বলেন, শুক্রবার মেয়ের জামাইয়ের কাছে ৯০ হাজার টাকা রেখে স্বামীর সঙ্গে ধান কাটতে কুষ্টিয়া যান তিনি। শনিবার সকালে খবর পান তার মেয়ে মারা গেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সাথীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে জামাই পালিয়েছে। ফিরে এসে তিনি রেখে যাওয়া টাকা পাননি। সাথীর স্বর্ণালঙ্কারও নাই।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘর থেকে সাথীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি সে আত্মহত্যা করেছে সেটি ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।