নির্বাচন ও রাজনীতি

শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে চান সাবেক ছাত্রনেতা আনিছুর

এম হাসান মুসা, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে। দীর্ঘ ২৬ বছর পর আগামী ৬ মার্চ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় মার্চে সম্মেলন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ নির্দেশনা পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগামী ৬ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সম্মেলন হওয়ার নির্দেশনা আসার পরই সরব হয়ে উঠেছেন শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এই কমিটির পদপ্রত্যাশীরা ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন এবং দলের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

বিকেল হলেই পৌরসভার মোড়ে মোড়ে নেতা-কর্মীদের জটলা দেখা যাচ্ছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ কে পাচ্ছেন, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনাকল্পনা। তবে দল ক্ষমতায় থাকায় নেতা হওয়ার তীব্র প্রতিযোগিতা হবে বলে ধারণা করছেন কর্মীরা।

কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই পদে আসা নিয়ে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা চলছে সংগঠনটির নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে। এই সম্মেলনে সাবেক ছাত্রনেতা আনিছুর রহমান সভাপতি হতে চান। তিনি জানান আমি ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগ করি ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রলীগ শৈলকুপা উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ছিলেন। শৈলকুপা উপজেলায় এরশাদ বিরোধী আন্দলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

এছাড়াও তিনি জগন্নাথ কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য, ১নং যুগ্ন আহŸায়ক শৈলকুপা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, সাবেক সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি সুত্রাপুর থানা,ঢাকা এবং সাবেক সহ-সভাপতি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ঢাকা মহানগর।

তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং শৈলকুপার সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের অধীনে রাজনীতি ও কে এল জুবিলী স্কুল এন্ড কলেজ বাংলাবাজার ঢাকায় শিক্ষকতাও করেছেন। রাস্ট্র বিজ্ঞানে এম এস এস বি করা আনিছুর রহমান আগামী ৬ তারিখের কাউন্সিলে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে চান।

শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসে পৌর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল। দীর্ঘ ২৬ বছর আগের ওই সম্মেলনে শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজম সভাপতি ও এ্যাড: কাজী নইমুল ইসলাম মাসুম সাধারণ সম্পাদক হন। ৫১ সদস্যবিশিষ্ট সেই কমিটির ২৫ জনের বেশি মারা গেছেন।

দীর্ঘদিন পর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করায় নেতা–কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নেতা হওয়ার জন্য অনেকে লবিংও শুরু করেছেন। দলের মধ্যে এটা থাকবে, তবে সম্মেলন হচ্ছে, এতেই তাঁরা খুশি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button