জানা-অজানাটপ লিডদেখা-অদেখা

ঝিনাইদহ জেলার প্রাণ কেন্দ্র খ্যাত পায়রা চত্বর

ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ জেলার অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যতিক্রমী মোড় ক্ষ্যাত পায়রা চত্বর মোড় । ব্যতীক্রমী এই কারণে যে, এই মোড়টির নামকরণ হয়েছে একটি পাখিকে ঘিরে। সাদা-শুভ্র, সিন্গ্ধ ও শান্তির প্রতীককে বুকে ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে ঝিনাইদহের পায়রা চত্বর মোড়টি। এটিই বর্তমানে সমগ্র ঝিনাইদহ জেলার প্রাণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। দিনের পর দিন হয়েছে আধুনিকায়ন । এক সময় এ চত্বরটিতে ছিল জাতীয় ফুল শাপলা। তখন সবাই শাপলা চত্বর নামেই চিনতো এ মোড়টিকে।
এই মোড়টিকে ঘিরেই ঝিনাইদহ জেলা আস্তে আস্তে বিস্তৃতি লাব করছে।

পায়রা চত্বর মোড়টি ঝিনাইদহ পৌরসভা কর্তৃক তৈরী করা হয়েছে। এখানে রয়েছে একটি গোল চত্বর। পায়রা দুই পাশে ডানা মেলে দিয়ে উড়ন্ত অবস্থায় আছে। পায়রাটিকে আরো অসাধারণত্ব এনে দিয়েছে এর সাথে রয়েছে ঝিনাইদহ জেলার নামকরণের ইতিহাস সম্বলিত ঝিনুক। সেই ঝিনুকে রয়েছে ঝিনাইদহ পৌর চেয়ারম্যান ও মেয়দের নাম। সেকানে একটি গোল বেদি করে দেওয়া হয়েছে।

আর এটি জনগুরুত্বপূর্ণ মোড় তো বটেই । কারণ, পায়রা চত্বর মোড়ের ঠিক উত্তর দিকেই রয়েছে ঝিনাইদহ হাটখোলা। যেখানে মানুষ সব ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিষ কিনতে পারে খুব স্বাচ্ছন্দে। এই মোড়ের দক্ষিণে রয়েছে বর্তমান পোষ্ট অফিস মোড় ও ঝিনাইদহ শহরের একমাত্র বাজার খ্যাত ট-বাজার, পশ্চিমে রয়েছে ঝিনাইদহ বই মার্কেট ও জেলার কৃতি সন্তান তৈরীর কারিগর ঝিনাইদহ কেশব চন্দ্র কলেজ।

মহাগুরত্বপূর্ণ এ মোড়টিতে সবসময়ই মানুষের প্রাণ চাঞ্চল্য দেখা মেলে। রাত কিবা দিন ব্যবসায়ীকভাবে অত্যন্ত ব্যস্ততম মোড় এটি। একসময় মাত্র কয়েকটি দোকান থাকলেও এখন প্রায় কয়েকশো দোকান মোড়টিতে অবস্থিত। সাথে আছে ঝিনাইদহ মুন্সি মার্কেট ও কয়েকটি ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠান। মোড়টির ৩পাশ দিয়ে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চলে গেছে ঝিনাইদহ শহরের তিনদিকে।

বড় বড় ব্যবসাীরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রাজশাহী, খুলনা থেকে প্রতিনিয়ত আসে এখানে ব্যবসা করতে। ঝিনাইদহ জেলার প্রথম ১০ তলা বিল্ডিংটিও এ মোড়টিতেই অবস্থিত।

মোড়টির ঠিক পাশেই রয়েছে ঝিনাইদহ কেন্দ্রী জামে মসজিদসহ নানা বড়-বড় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

পায়রা চত্বর মোড়ে রয়েছে হরেক রকমের খাবারের দোকান, মুদিখানা দোকান, ডাক্তার খানা, হোটেল-রেস্তোরা, কাপড়ের দোকান। এই মোড়ে রাতে দিনে সবসময় পাওয়া যায় ইজিবাইক, ভ্যান, রিক্সা। ইচ্ছে হলে যে কেউ ইজিবাইকে ও রিক্সায় শহর ভ্রমণ করতে পারবে।

ঝিনাইদহ পায়রা চত্বরের ঠোটের দিকে চোখ দিয়ে তাকালে ডানে চলে গেল হামদহ, বামে চলে গেল আরাপপুর, পেছনে চলে গেল ঝিনাইদহ চুয়াডাঙ্গা বাস ষ্ট্যান্ড বা বর্তমান নাম মুজিব চত্বর।

একসময়ের ছোট্ট মোড়টি আজ হাজারো মানুষের ভীড়ে লেগেই থাকে। জনবসতি বাড়ার সাথে সাথে এখানে বাড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্য।

ঝিনাইদহ পায়রা চত্বর মোড় ঝিনাইদহ জেলাবাসীর একটি গর্বের ও দর্শনীয় স্থান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button