শৈলকুপায় বন্ধুদের মিলনমেলা ও ঈদ উপহার বিতরণ
রানা আহম্মেদ অভি, শৈলকুপা, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বন্ধুদের সমন্বয়ে গড়ে উঠা সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “বন্ধু ফাউন্ডেশন ৮৮ ” এর মিলনমেলা ও অসহায়দের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) উপজেলার শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথমে বন্ধুমহলের শ্রুতিমধুর স্মৃতিচারণ বর্ণনা,পরবর্তীতে দোয়া মাহফিল ও অর্ধশত অসহায় মানুষদের ঈদ উপহার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শেষ হয়।
জানা যায়, শৈলকুপা উপজেলার স্বনামধন্য উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় “বসন্তপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়”। সেই বিদ্যালয়ের ১৯৮৮ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন বর্তমান “বন্ধু ফাউন্ডেশন ৮৮” এর সকলে। প্রথম থেকেই সেই বন্ধুত্ব বন্ধন অটুট থাকলেও তা গঠনমূলক সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সকলের পরিশ্রম ও যোগাযোগের সমন্বয়ে তাদের একটি বন্ধু সংগঠন সৃষ্টি করার লক্ষ্য ছিল। মহামারী করোনাকালে ২০২১ সালের রমজানের ঈদে বিভিন্নভাবে যোগাযোগের পর সকলের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকেই আজকের “বন্ধু ফাউন্ডেশন ৮৮” নামে এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। বর্তমানে এই সংগঠনের বন্ধুরা বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও ইঞ্জিনিয়ারসহ দেশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ স্থানে কর্মরত রয়েছে।
বন্ধু ফাউন্ডেশনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুর রহমান শাহিন, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ। এছাড়াও সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল হান্নান, জাহাঙ্গীর আলম, হারিদুল ইসলাম, আলাউদ্দিন আহম্মেদ, আব্দুর রাজ্জাক, শহিদুল ইসলামসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের মধ্যমণি শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুর রহমান শাহিন বলেন, ‘‘বন্ধু ফাউনন্ডেশন ৮৮” একটি অরজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যার বয়স মাত্র এক বছর। আমাদের সকলের ইচ্ছে ছিল এই ঈদে একত্রিত হয়ে অসহায়দের মধ্যে ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়ে তাদের পাশে থাকবো। প্রচণ্ড আগ্রহ নিয়ে আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। আমরা অধিকাংশ এখানে উপস্থিত হতে পেরে খুবই আনন্দ অনুভব হচ্ছে। প্রায় ৪০ জন বন্ধু এই সংগঠনের সাথে যুক্ত। একজন বন্ধু ইন্তেকাল করেছে আজ তার মেয়ে উপস্থিত। আমাদের সাধ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে আমরা আজকের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।
তিনি আরও বলেন, গত ১৯ তারিখে এই সংগঠনের আমাদের এক বন্ধু স্টোকজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছে। এখানে তার মেয়ে আছে। আমরা তার জন্য দোয়া চাই। এছাড়াও সকলের সহযোগিতার আজকের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সফল করার জন্য ধন্যবাদ। এই সংগঠনের সামাজিক কাজে সর্বদা থাকবে – এই আমার প্রত্যাশা।