জানা-অজানাটপ লিডদেখা-অদেখাশৈলকুপা

ঝিনাইদহের ঘেরে অসময়ে পদ্ম ফুলের অপরূপ শোভা/দেখতে মানুষের ভিড়

ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পদ্ম বিলের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু বিলের মধ্যে কাটা একটি মাছের ঘেরে ফের অসময়ে পদ্ম ফুল ফুটেছে। নয়াভিরাম এ দৃশ্য দেখতে মানুষের সমাগম হচ্ছে।

এলাকার প্রবীনদেরে কাছ থেকে জানা যায়, হাবিবপুর, বারইপাড়া, ষষ্টিবর ও ইব্রাহিমপুর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে এক বিরাট বিল ছিল। এ বিলে পদ্ম ফুলের সমারোহ ছিল বলে নাম ছিল পদ্ম বিল। কিন্তু বর্তমানে বিলের অস্তিত্ব নেই। বিল জুড়ে ধান চাষ হচ্ছে। জি কে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় এ বিলের মৃত্যু হয়। কয়েক বছর আগে বিলের নিচু এলাকায় ঘের তৈরি করে মাছের চাষ করা হচ্ছে। তার মধ্যে সুজন নামের এক জনের ঘেরে পদ্ম গাছ গজাতে শুরু করে। এখন ঘের পদ্ম গাছে ভরে গেছে। ফুটছে পদ্ম ফুল। তবে এ পদ্ম দেখতে শে^তশুভ্র। আকারে বেশ বড়।

সরেজমিনে দেখা যায়, অসংখ্য পদ্ম ফুল ফুটেছ্ েআছে, সাথে ফুলের কুঁড়িও। সাধারনত শরৎ কালে বিলে ঝিলে পদ্ম ফুটে থাকে। কিন্তু গ্রীস্মের খরতাপের মধ্যে হাবিবরপুরে মাছের ঘেরে পদ্ম ফুল ফুটেছে।
সুজন মন্ডল বলেন, বর্ষা শুরু হলে আরো বেশি ফুল ফুটবে।

উমেদপুর ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের সাবেক মেম্বর দেলওয়ার হোসেন বলেন, তারা মুরব্বীদের কাছে শুনেছেন পদ্ম বিল বর্ষা মৌসুমে পানিতে থৈ থৈ করতো। আর শরতের আগমনে পদ্ম ফুলে ঢেকে যেত বিল। সৃষ্টি হতো এক অপরূপ দৃশ্যর। অনেক গুলো ঘেরের মধ্যে ৮০ বছর পর ৫ – ৬ বছর আগে একটি ঘেরে পদ্ম ফুটতে শুরু করে। গাছ কেটে ফেললে ফের চারা গজিয়ে গাছে ভরে যায়। পদ্মের শোভা দেখতে মানুষের সমাগম হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহের উপ পরিচালক মোঃ আজগর আলি বলেন, পদ্ম ফুলের কন্দ ( মোথা ) দীর্ঘ দিন মাটির নিচে সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। অনুকুল পরিবেশ পেলে আবার গাছ গজায়। তবে বর্ষার শেষে বিল ঝিলে পদ্ম বেশি ফুটে থাকে। বিল বাওড় শুকিয়ে যাওয়ায় পদ্ম ফুলের কম দেখা পাওয়া যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button