শৈলকুপায় অবৈধ স’ মিলের ছড়াছড়ি
মফিজুল ইসলাম, শৈলকুপা, ঝিনাইদহের চোখ-
সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ঝিনাইদহের শৈলকুপায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ স-মিল (করাত কল)। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই সেখানে সাবাড় হচ্ছে বনজ, ফলদসহ নানা প্রজাতির গাছ। রাত-দিন সচল থাকে এসব স-মিল। কাঠ চেরাইর শব্দে স-মিলের আশপাশের বাসাবাড়িতে বসবাস করাই এখন দায় হয়ে পড়ছে। দ্রুত এসব অবৈধ স-মিল অপসারণ ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় অর্ধশত স-মিল রয়েছে। লাইসেন্স ছাড়াই এসব স-মিলের মালিকরা ব্যবসা করে যাচ্ছে। ফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
অধিকাংশ স-মিল সড়কের পাশে থাকায় শত শত গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখা হয়েছে রাস্তার পাশে। ফলে পথচারীরা রাস্তার পাশ দিয়ে নয়, মূল সড়কের ওপর দিয়েই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকির অভাবে রাস্তার পাশ, আবাসিক স্থান, বাণিজ্যিক এলাকায় স্থাপিত হয়েছে এসব স-মিল।
উপজেলায় প্রায় ৫০টির বেশি স-মিল রয়েছে। তাদের অধিকাংশেরই লাইসেন্স নেই। কোনো নিয়মনীতিও মানছেন না তারা। স-মিল স্থাপন বিধিতে বলা হয়েছে, সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ২০০ মিটার এবং সরকারি বনভূমির সীমানার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স-মল স্থাপন করা যাবে না।
লাইসেন্স না থাকার ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স-মিল মালিক জানান, লাইসেন্স পেতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। তবে আবেদনটা করে রেখেছি।
উপজেলা স-মিল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ইরাদ আলী বলেন, উপজেলাতে অর্ধশত স-মিল রয়েছে এর মধ্যে ৮-১০ টির লাইসেন্স আছে, বাকিদের নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগেও আমরা অবৈধ কয়েকটি স-মিলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছিলাম।
শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন, ইতোপূর্বে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ কয়েকটি স-মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিলাম। আবারও অভিযান চালানো হবে।