রাজধানীর মানুষ খেতে পারবে ঝিনাইদহের সতেজ সবজি ।। কৃষক পাবে ন্যায্যমূল্য
সাদ্দাম হোসেন, ষ্টাফ রিপোর্টর, ঝিনাইদহের চোখ-
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহ। কৃষি নির্ভর এই জেলায় উৎপাদিত হয় সব ধরনের সবজি, ফুল, ফলসহ নানা কৃষিপণ্য। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পদ্মা সেতু চালু হলে লাভবান হবে এ জেলার কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। খুব সহজেই ঢাকাসহ কয়েক জেলায় পৌঁছাবে এ জেলার উৎপাদিত কাঁচামাল।
কৃষকরা জানান, বর্তমানে এ জেলার উৎপাদিত সবজি, ফুলসহ কৃষিপণ্য ঢাকায় পাঠাতে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। ফেরি পারাপারে দেরি হওয়ার কারণে অনেক সময় নষ্ট হতো ফুলসহ কৃষিপণ্য। এতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি লোকসান গুনতে হতো কৃষকদেরও। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাবে পণ্য। এতে লাভের পাশাপাশি ভালো দামের আশা করছে তারা। শুধু কৃষক বা ব্যবসায়ীরাই সুবিধা পাবে না ভোক্তারাও পাবে সতেজ ও টাটকা সবজি। কারণ পদ্মা সেতু চালু হলে যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনাসহ ওই অঞ্চলের পরিবহন পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপার হবে, যানজট মুক্ত হবে দৌলতদিয়া ঘাট। এতে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টায় সকল ধরনের পরিবহন পৌঁছাতে পারবে ঢাকায়। যার ফলে যাত্রীবাহী ও পণ্য পরিবহনে ভোগান্তিতে পড়বে না এ জেলার মানুষ। সরকারের এই উন্নয়নকে সাধুবাদ জানিয়ে জেলাকে রেলসেতুর সঙ্গে সংযুক্ত করার দাবী তাদের।
শেখপাড়া বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আব্দুল গণি জানান, বাজার থেকে তারা সবজি কিনে ঢাকার কারওয়ান বাজার পাঠায়। ঘাটে যানজট হলে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। ফলে সবজিসহ কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যায়। এতে লোকসান গুনতে হয় সকল ব্যবসায়ীদের। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দৌলতদিয়া ঘাটে জ্যাম হবে না, ফলে কৃষকরাও তাদের ন্যায্য মূল্য পাবে সেই সঙ্গে লাভবান হবে কৃষকরা। আর সব থেকে আশার বানী হচ্ছে ঢাকার মানুষ খেতে পারবে টাটকা ও সতেজ সবজি।
এ ব্যাপারে জেলা মার্কেটিং অফিসার গোলাম মারুফ খাঁন বলেন, পদ্মা সেতু কৃষক ভাইদের ভাগ্য উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচিত করেছে। এলাকার কৃষকরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় খুব সহজে সবজি পাঠাতে পারবে। আর আমরা কৃষকদের সবজি বিক্রয়ে জন্য সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগী করবো।