যানজটের শহর শৈলকুপা
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের ছোট্ট শহর শৈলকুপা। কিন্তু যানজট বড়। এ উপজেলা শহরে আছে পৌরসভা। কিন্তু পৌর আইনের তোয়াক্কা করে না অধিকাংশ ব্যবসায়ী।
আনুমানিক ৩০০ বছর আগে কুমার নদের তীরে গড়ে ওঠে শৈলকুপা বাজার। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৮৬২ সালে ঝিনাইদহে মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর শৈলকুপায় থানা স্থাপিত হয়। বাজারে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পায়।
তখন নদীপথে কলকাতার সঙ্গে ব্যবসা চলত। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর কলকাতার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু হয় খুলনা, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে।
১৯৮২ সালে প্রথম ধাপে শৈলকুপা উপজেলায় উন্নীত হয়। বসে ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালত। এতে শহরের কলেবর বৃদ্ধি পায়। ১৯৯২ সালে পৌরসভা স্থাপিত হয়। মর্যাদা বাড়লেও সমস্যা দেখা দেয় জায়গার। নদী চর ভরাট করে পৌরসভা শহরের পরিধি বাড়ানো হয়। কিন্তু একশ্রেণির মানুষ সে জায়গা যে যার মতো করে দখল করে ঘর-দরজা তুলে নেয়।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ফাঁকা করে দেয়। এরপর মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের একসনা লিজ দেয়। এরমধ্যে অনেকে লিজের শর্ত ভঙ্গ করে বলে অভিযোগ।
দোকানের সামনে ফুটপাত দখল করে বসেছে। শহরের প্রধান সড়ক ব্রিজ রোডে সাপ্তাহিক হাটের দিন শনি ও মঙ্গলবারে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দেখার কেউ নেই। শহরের গুরুত্বপূর্ণ ঝিনাইদহ সড়কের ওপর সারি সারি ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। হাটের মধ্যে ট্রাক ঢোকানো হয়। রাস্তার ওপর হাট বসে। মানুষের চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। কেউ আইন মানে না। পৌরসভা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করেছে। আর দোকানদাররা ড্রেনগুলোর মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। ড্রেনের ঢাকনার ওপর পণ্য রেখে কেনাবেচা করে। মানুষ নির্বিঘ্নে চলতে পারে না। ড্রেনের ওপর মহেন্দ্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
ট্রাকচালক আবুল হোসেন বলেন, এ শহরে ঢুকতে যানজটে পড়তে হয়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ভ্যানচালক মশিউর রহমান বলেন, শনি ও মঙ্গলবার শহরজুড়ে রাস্তার ওপর হাট বসে, যানজট সৃষ্টি হয়।
পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজম বলেন, ‘শহরের যানজট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফুটপাত মুক্ত করা হবে। দোকানিরা সামনের ড্রেনগুলোর মুখ পরিষ্কার করে না। আইন মানতে চায় না।’