ঝিনাইদহের জলিলের ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস

শেখ ইমন, ঝিনাইদহের চোখঃ
জীবিকা নির্বাহের জন্য মানুষ বিভিন্ন কর্ম বেছে নেয় ।সংসারের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য মানুষ নানা রকম পেশায় যুক্ত হয় ,আর সেই চাহিদা মেটানোর জন্যই আব্দুল জলিল শেখ চল্লিশ বছর ধরে ফেরি করে ঝালমুড়ি বিক্রি করছেন ।ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নাদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি ।
প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে “এইইই ঝালমুড়িড়ড়’’ বলে হাক ছাড়েন তিনি ।বিভিন্ন ওলি গলি ঘুরে ঘুরে যা রোজগার হয় তাই দিয়েই কোন রকমে চিলে তার সংসার । বয়স ৭০ এর কাছাকাছি হলেও পায়না কোন সরকারি অনুদান ।দেহের ভার বইতে না পারলেও সংসার চালানোর তাগিদে রোজ তাকে শহরের বিভিন্ন ওলি গলি ঘুরে ঘুরে হাক ছেড়ে ঝালমুড়ি বিক্রি করতে হয় ।
দুই মেয়ে এক ছেলের পিতা তিনি ।ছেলে তার ভরন পোষন এর দায়িত্ব নেয়নি যার ফলে বৃদ্ধ বয়সেও তাকে এই কঠিন কর্ম করে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে ।
আব্দুল জলিল শেখ জানান , রোজ ২০০-২৫০ টাকা রোজগার করি ,এই দিয়েই চলে কোন রকমে সংসার ।বয়সের ভার আর সহ্য করতে পারছি না ।এসব থেকে যে কবে মুক্তি পাব সেটা আল্লাহই জানে ।যদি একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড থাকতো তবে একটু উপকার হতো ।অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকলেও দেখার কেউ নেই, ঠিকমত ঔষুধও কিনে খেতে পারি না ।ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ।