শৈলকুপায় বিরল রোগে আক্রা কিশোর প্রেম কুমার বাচঁতে চায়
এম হাসান মুসা, ঝিনইদহের চোখঃ
কিশোর প্রেমকুমার বাঁচতে চায়। উঠে দাঁড়াতে চায়, যেতে চায় আগের মতোই স্কুলে, খেলতে চায় বন্ধুদের সাথে। কিন্তু গত ৪ মাস যাবৎ এক অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী অবস্থায় পড়ে রয়েছে ঢাকার বিআরবি হাসপাতালের বিছানায়। জীর্ণকায় শরীরটা দিনে দিনে মরনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তাকে। ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার পৌর এলাকার প্রেমকুমার বিশ্বাস নামের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রকে নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে তার মা ও বাবা । প্রেম কুমারকে সুস্থ্য জীবনে ফিরিয়ে আনতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহব্বান জানিয়েছেন তারা।
শৈলকুপা উপজেলার পৌর এলাকার অসিত কুমারের পুত্র প্রেম কুমার বিশ্বাস শৈলকুপা সরকারী হাই স্কুলের ৮ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র । প্রায় ৪ মাস পূর্বে হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হয়। তখন প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও জ্বর না কমে অবস্থার আরো অবনতি হয়। এ অবস্থায় বিভিন্ন চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা চলতে। এতে কোন উন্নতি না হওয়ায় গত সপ্তায় ঢাকার বিআরবি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান আঘাত জনিত কারনে তার ফুসফুসে রক্ত জমেছে। কিশোর প্রেমকুমার শ্বাসকস্ট সহ ঠিক মতো ঘুমাতেও পারেনা। অসহ্য যন্ত্রণায় দিন-রাত ছটফট করতে থাকে। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে তার পরিবারটি। এই কিশোরের চিকিৎসা করতে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ছেলেটির বাবা স্থানিয় একটি ক্লিনিকের পিয়ন অসিত কুমার বিশ্বাস । এতো অভাব-অনটনের মাঝে তার চিকিৎসার ব্যয়বহুল খরচ যোগানো মা বাবার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এ রোগ থেকে মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতার হাত বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানান তার মা বিচিত্রা রানি বিশ্বাস ও বাবা অসিত কুমার বিশ্বাস। গতকাল মঙ্গলবার আক্রান্ত স্কুল ছাত্র প্রেমকুমার আস্তে আস্তে কান্নাজরিত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে জানায়, ‘আমি বাচঁতে চাই, স্কুলে যেতে চাই, খেলাধুলা করতে চাই।’ সমাজের বিত্তবানদের উদ্দ্যেশে সে বলে ‘আমাকে বাচাঁতে সাহায্য করুন, আমি সুস্থ্য হয়ে চাকরি করে অথবা ভিক্ষা করে আপনাদের ঋন পরিশোধ করবো।’
তার মা বিচিত্রা রানি বিশ্বাস আরো জানান, একমাত্র বুকের ধন প্রেমকুমার বিনা চিকিৎসায় বর্তমানে বিছানায় শুয়ে মৃত্যূর প্রহর গুনছে। সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা সহযোগীতার হাত বাড়ালেই কেবল সে সুস্থ হয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে। তিনি আরও জানান, সাহায্যের জন্যে বিকাশ নম্বর (০১৭২৪৭৩৫২৮২)।