ঝিনাইদহে নিখোঁজ প্রতিবন্ধী সন্তানের সন্ধান পেতে মায়ের আকুতি
এইচ মাহবুব মিলু, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
হতদরিদ্র এক গৃহিণী তার ৫ মেয়ে ৩ ছেলে-কে নিয়ে সংসার। স্বামীর মৃত্যুর পর হতদরিদ্র সাপারন খাতুন দারিদ্র্যতার কষাঘাতের মধ্যেও টিকে থাকার লড়ায়ে পিছুপা হননি তিনি। প্রতিবন্ধি ওসমান গনি (৩৯) চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা উপজেলার আড়িয়া গ্রামের মৃত মাসুদ আলী মল্লিকের ছোট্ট পূত্র সন্তান ।
প্রতিবন্ধী হলেও আল্লাহ ও নামাজের প্রতি ছিলো তার অধাৎ প্রেম। মসজিদে সবসময় ছিলো তার অবাধ বিচরণ। গত ১০ সেপ্টেম্বর জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য বাড়ী থেকে মসজিদের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি তিনি। বিভিন্ন স্থানে অনেক খুঁজাখুঁজির করার পর নিরুপায় হয়ে ৬ অক্টোবর দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে নিখোজের পরিবার, যাহার জিডি নং ২৮৪, জানাগেছে সাপারন খাতুনের সংসারের অর্থের যোগান হিসাবে এই বাক প্রতিবন্ধীর সরকারি অনুদান অনেক অংশে ভূমিকা রাখতো।
নিখোঁজের সময় তার পরনে ছিলো চা-পাতি রং এর পাঞ্জাবী। গায়ের রং কালো, তার মুখোমণ্ডল চ্যাপ্টা, কালো দাড়ি, ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতা ছিলো। বিভিন্ন স্থানে অনেক আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে খোঁজা খুঁজি করার এক পর্যায়ে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার গণমাধ্যম কর্মীদের স্মরণাপন্ন হন প্রতিবন্ধী উসমানের জননী। বাক প্রতিবন্ধী যুবকের সন্ধান পেলে ০১৯২১১৫১৬৩৮ নম্বরে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করেছেন নিখোজের মাতা সাপারন খাতুন।
এদিকে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার জানামতে আড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র ছিলো বাক প্রতিবন্ধী ওসমান গনি। নিখোঁজ প্রতিবন্ধীর খোঁজে এলাকার সবাই আন্তরিক,মুলত প্রতিবন্ধী হলেও সে খুব ভালো ছেলে ছিলো। নিখোঁজ হওয়ায় আমরা এলাকাবাসী সবাই মর্মাহত।