ঝিনাইদহের চোখ-
অসুস্থ পিতার সামনে অমানবিক আচরণ করায় দলীয় পদ হারালেন ঝিনাইদহ মহেশপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুজ্জামান বিপাশ।
ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস নোটে এ বহিস্কার আদেশ প্রদান করা হয়।
ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রানা হামিদ জানান, অসুস্থ পিতার সামনে হাসপাতালে নিজ কর্মী এসএম সরকার ওরফে হোসাইনের গালে জুতা মারতে বাধ্য করে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুজ্জামান বিপাশ।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঝিনাইদহ জেলা শাখার জরুরী সিদ্ধান্ত মোতবেক জানানো যাচ্ছে যে, মহেশপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আরিফুজ্জামান বিপাশ এর বিরুদ্ধে দলীয় আদর্শ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকান্ডে হড়িত থাকার অভিযোগে তাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মহেশপুর শাখার সভাপতি পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হলো।
উল্লেখ্য, এসএম সরকার ওরফে হোসাইনের বাড়ি উপজেলার যাদবপুর গ্রামে। স্থানীয় সাবেক এমপি নবী নেওয়াজের সর্মথক তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে লেখালেখির সূত্র ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বিপাশের সঙ্গে হোসাইনের বিরোধ চলে আসছিল। ঢাকায় ছোটখাটো কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। এক ছেলে এক মেয়ের জনক তিনি। বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে গত ৭ ডিসেম্বর রাত অনুমান ১২টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে আসেন হোসাইন। ঘটনার দিন রাতে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুজ্জামান বিপাশ আসেন হাসপাতালে। এ সময় কথোপকথনের একপর্যায়ে শাস্তি স্বরুপ পা থেকে জুতা খুলে দেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি। হোসাইনকে নিজের গালে সেই জুতা দিয়ে আঘাত করার নির্দেশ দেন। হোসাইন পা ধরে কয়েকবার ক্ষমাও চান তখন। তাতে আরিফুজ্জামান বিপাশের মন গলেনি। তারপর মুমুর্ষ বাবার সামনেই সে নিজ গালে জুতা দিয়ে আঘাত করে। সেখানে মা ফাতেমা খাতুনও দাড়িয়ে ছিলেন। পরে তার পিতার অবস্থার অবনতি হলে ৮ ডিসেম্বর মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যশোর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তার লাশ।