ঝিনাইদহ শৈলকুপায় পেঁয়াজ চারা ভালো হয়েছে
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলায় পেঁয়াজ চারার বাস্পার ফলন হয়েছে। বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ চারা বীজতলা থেকে তুলে জমিতে রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষকেরা। এ উপজেলায় পেঁয়াজের প্রচুর চাষ হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি চাষ হয় পাইকপাড়া গ্রামে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলায় চাষযোগ্য জমি আছে ২৮ হাজার ৫শ হেক্টর। তার মধ্যে এ বছর পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে শুধু পাইকপাড়া গ্রামে চাষ হবে ৩৫০ হেক্টর জমিতে। বারি-১, লাল তীর, লাল তীর কিংসহ বেশ কয়েকটি জাতের পেঁয়াজ বেশি চাষ হচ্ছে। এ বছর অনেক কৃষক সুখসাগর জাতও চাষ করেছেন।’
সাতগাছী গ্রামের কৃষক অহিদুল জানান, এবার সময় মত জমিতে জো-এসেছিল। পেঁয়াজের দানা (বীজ) সঠিক সময়ে দিতে পেরেছিলাম। খুব ভালো ফলন হয়েছে। এক কেজি দানায় এক বিঘার বেশি জমিতে পেঁয়াজ লাগাতে পারব। এবার আশা করছি মোট ৭ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ লাগাব।
পাইকপাড়া গ্রামের কৃষক খয়বর আলী বলেন, উর্বর বেলে-দো-আঁশ মাটি পেঁয়াজ চারা চাষের জন্য খুব ভালো। বর্ষায় পেঁয়াজ চাষের জন্য উঁচু জমি দরকার যেখানে বৃষ্টির পানি জমে না। জমিতে সেচ ও পানি নিকাশের ব্যবস্থা থাকতে হবে। বীজ বপনের পূর্বে আগের দিন সন্ধ্যায় বীজ ভিজিয়ে রেখে পরের দিন তুলে এক ঘণ্টা রেখে পানি ঝরিয়ে তারপর বীজতলায় বপন করতে হবে। বীজ বপনের পর ঝুরঝুরে মাটি দিয়ে বীজ ঢেকে দিতে হবে। প্রয়োজন মত সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল হাসনাত জানান, ভাল বীজ ছাড়া ভাল ফসল আসা করা যায় না। এবার আবহাওয়া ভালো। সময় মত বৃষ্টি হয়েছে। কৃষকরা তাদের বীজতলা ঠিক মত তৈরি করতে এবং যত্ন নিতে পরেছে। ফলে পেঁয়াজের চারা ভালো হয়েছে। আমি আসা করছি এবার কৃষকেরা পেঁয়াজে ভালো ফলন পাবেন। আমারা নিয়মিত কৃষকদের খোঁজ খবর রাখছি। যেকোনো সমস্যায় আমরা তাদের পাশে আছি।