শৈলকুপায় বিশেষ জাত “কারেন্ট পোকা” প্রতিরোধক ধানের বাম্পার ফলন
ঝিনাইদহ চোখ-
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় বিশেষ জাত “কারেন্ট পোকা” প্রতিরোধক ধানের আবাদে সুফল পেয়েছে কৃষক। সোমবার বিকালে শৈলকূপা উপজেলার মলমলি গ্রামের মাঠে অ্যারাইজ আইএনএইচ ১৬০১৯ বায়ার হাইব্রিড-৮ জাতের ধান চাষে সাফল্য দেখা গিয়েছে। এই ধান চাষ করে বাম্পার ফলনও পেয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শৈলকুপার উপজেলার মলমলি গ্রামের মাঠে ১৮ শতক জমিতে তাজমুল নামে এক কৃষক অ্যারাইজ আইএনএইচ ১৬০১৯ বায়ার হাইব্রিড-৮ ধান রোপণ করে। আগামী দুই মধ্যেই জমি থেকে ধান কর্তন করা যাবে। এছাড়াও পাশের জমিতে অন্য কৃষকদের ধানে কারেন্ট পোকা লাগলেও তার জমিতে কারেন্ট পোকার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। অন্য সব কৃষকের থেকে তার ধানের ফলন বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কৃষক তাজমুল হোসেন জানান, বাজারে ধান বীজ কিনতে গেলে, ডিলার পয়েন্ট থেকে আমাকে এই জাতের ধান রোপনের প্রতি অনুরোধ করা হয়। তারা বলে, এই ধান কারেন্ট পোকা প্রতিরোধক এবং অন্যান্য ধানের তুলনায় এই ধানে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার কম লাগে। তারপর বীজতলায় ধান বীজ বপন করে ২৫ দিনের মাথায় ধানের চারা জমিতে রোপন করি। এবং কথামতো কীটনাশক এবং রাসায়নিক সার কম দিই। তারপরও দেখা গেছে পাশের জমির তুলনায় আমার জমিতে কারেন্ট পোকাও লাগেনি এবং ধানের ফলনও ভালো হয়েছে।
বায়ার কোম্পানির শৈলকুপা উপজেলার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মোঃ মোতালেব হোসেন জানান, তাদের কোম্পানির এই ধানের জাতটি নতুন সংগ্রহ করেছে। প্রাথমিকভাবে শৈলকুপা উপজেলাতে ৬ একর জমিতে কৃষকের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এই জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। অন্যান্য জমির তুলনায় কারেন্ট পোকা লাগার সম্ভাবনা একবারেই নেই।
তিনি আরো জানান, ৩৩ শতক জমিতে ২২ থেকে ২৮ মন হারে ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন । তবে অন্যসব ধানের থেকে এই ধানে পোকামাকড় খুবই কম লেগেছে। আগামীতে এই ধানের চাষ আরো বাড়বে বলেও জানান তিনি ।