কোটচাঁদপুরে জমি থেকে ঘাস কাটার অপরাধে ছাত্রকে পেটোনোর অভিযোগ
মোঃ মঈন উদ্দিন খান, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ চোখ-
জমি থেকে ঘাস কাটার অপরাধে এক স্কুল ছাত্রকে পেটোনোর অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্য অলিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে। আজ (১৬ মার্চ) বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের জয়দিয়া গ্রামে।
ভুক্তভোগি স্কুল ছাত্র জিহাদ হোসেন বলেন, আমাদের বাড়িতে ছাগল আছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমি ছাগলের জন্য মাঠে ঘাস কাটতে যায়। এ সময় পাশের জমি থেকে লাগানো ঘাস কাটছিলাম। জমির মালিক অলিয়ার রহমান মেম্বার আমাকে দেখে ফেলেন। এরপর তিনি কিছু না বলেই, তাঁর হাতে থাকা কাচির আছাড় দিয়ে মারতে থাকে। এ সময় তার হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালায়।
জিহাদ বলেন, এর আগে আমি কখনও তাঁর জমি থেকে ঘাস কাটেনি। ওই মেম্বার মিথ্যা দোষারোপ করে মারপিট করেছেন।
খবর পেয়ে জিহাদেন পিতা আব্দুল খালেক বাড়িতে ছুটে যান। দেখতে পান ছেলের সারা শরীরের মারপিটের চিহৃ। বিষয়টি জানাতে স্থানীয় গন্যমান্য মানুষের কাছে ছুটে যান। এ সময় তারা ঘটনাটি দেখে ও শুনে সাবেক ইউপি সদস্যকে ধিক্কার দেন। এবং বলেন এ ধরনের মানুষের বিচার হওয়া দরকার।
আব্দুল খালেক বলেন, আলিয়ার মেম্বার আমার ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগে মেরেছেন। আমি তাঁর বিচার চাই। তিনি এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য অলিয়ার রহমান বলেন, তারা বাপ ছেলে আমার জমি থেকে প্রতিনিয়ত ঘাস কেটে নিয়ে যায়। অনেক মানুষে আমাকে জানিয়েছেন। আমি কাউকে ধরতে পারি না। বৃহস্পতিবার তাকে জমিতে ঘাস কাটতে দেখে ধরে ফেলি।
তিনি বলেন, এ ঘাসের জমিতে অনেক খরচ হয় আমার। আর তারা প্রতিনিয়ত ক্ষতি করেন। আপনার ছেলের বয়সি ওই ছেলে মারা আপনার ঠিক হয়েছে কিনা,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না আমার ঠিক হয়নি।তবে তাকে ধরার পর আমি আমার রাগ সামলাতে পারিনি।
জিহাদ হোসেন (১৪) জয়দিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। সে উপজেলার নারায়ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্র।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বলেন,এ ধরনের ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।