অবশেষে জয় পেল মাহমুদউল্লাহর খুলনা
ঝিনাইদহের চোখঃ বিপিএলের ঢাকার প্রথম পর্বে চার ম্যাচের সবকটিতে হেরেছিল খুলনা টাইটানস। সিলেটে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় মাঠে নেমেছিলেন টাইটানসরা। প্রথম জয়ের খোঁজে ছিলেন তারা।
অবশেষে এবারের টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের দেখা পেলেন মাহেলা জয়াবর্ধনের শিষ্যরা। স্লো অ্যান্ড লো স্কোরিং ম্যাচে রাজশাহী কিংসকে ২৫ রানে হারিয়েছেন তারা।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় রাজশাহী। ইনিংসের ভূমিকাতেই জুনায়েদ খানের বলির পাঁঠা হয়ে ফেরেন লরি ইভানস। দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুল হককে নিয়ে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠছিলেন মিরাজ। তবে হঠাৎই থমকে যান পয়েট অব ডায়নামো। মাহমুদউল্লাহর এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন তিনি।
কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পাঁকে পড়ে রাজশাহী। তাইজুলের স্পিন ছোবলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মিরাজ ও সৌম্য সরকার। ফেরার আগে ১৬ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান করেন কিংস অধিনায়ক। লড়াই বলতে ছিল কেবল সেই ইনিংসটিই।
এর জের না কাটতেই মাহমুদউল্লাহর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ইনফর্ম জাকির হাসান। বিপর্যয়ের মধ্যে তাইজুলের তৃতীয় উইকেট বনে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন রায়ান টেন ডেসকাট। এ পরিস্থিতিতে জুনায়েদের বলে ব্র্যাথওয়েটকে ক্যাচ দেন ক্রিস্টিয়ান জঙ্কার।
ফলে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু খুলনা। পরক্ষণেই ইসুরু উদানাকে ডেভিড উইজ ফেরালে স্বপ্ন আরো পোক্ত হয়। জয়ের প্রহর গুনতে শুরু করে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ধারাবাহিক বিরতিতে কামরুল ইসলাম রাব্বি রানআউট হয়ে ফিরলে জয়টা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। একটু পরই আরাফাত সানিকে জুনায়েদ তুলে নিলে বিজয়োল্লাসে মাতেন তারা।
শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান করতে সামর্থ্য হয় রাজশাহী। খুলনার হয়ে জুনায়েদ ও তাইজুল নেন সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট। ২টি উইকেট ঝুলিতে ভরেন মাহমুদউল্লাহ। ১ উইকেট শিকার করেন উইজ।
জমজমাট লড়াইয়ে শেষ হয়েছে বিপিএলের ঢাকার প্রথম পর্ব। মঙ্গলবার শুরু হয়েছে সিলেট পর্ব। এর প্রথম ম্যাচে টস ভাগ্যকে পাশে পান খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ফলে আগে বোলিং করতে নামে মেহেদী হাসান মিরাজের রাজশাহী কিংস।
তবে সূচনাটা শুভ হয়নি খুলনার। শুরুতেই হোঁচট খায় টাইটানসরা। ইসুরু উদানার শিকার হয়ে ফেরেন জহুরুল ইসলাম। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে মিরাজের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে বিদায় নেন জুনায়েদ সিদ্দিকী। খানিক পর রাজশাহী কাপ্তানের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ডেভিড মালান ফিরলে চাপে পড়ে খুলনা।
এর মধ্যে আরাফাত সানির স্পিনে নীল হন মাহমুদউল্লাহ। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে রানআউটে কাটা পড়েন নাজমুল হোসেন। সেই রেশ না কাটতেই সানির এলবিডব্লিউ হয়ে কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ফিরলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় টাইটানসরা।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন আরিফুল হক। তবে তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দিতে পারেননি ডেভিড উইজ। উদানার বলে মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে ফিনিশ হন তিনি।
দলকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি আরিফুলও। কিছুক্ষণ পর মোস্তাফিজের কাটারে বিভ্রান্ত হয়ে লরি ইভানসকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ফেরার আগে ২৭ বলে ১ চারে ২৬ রানের সংগ্রামী ইনিংস খেলেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার। পরের বলেই তাইজুল ইসলামকে রানআউট করে ফেরান ফিজ।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে স্কোর বোর্ডে ৯ উইকেটে ১২৮ রান তোলে খুলনা। রাজশাহীর হয়ে উদানা, মিরাজ, সানি নেন ২টি করে উইকেট। ১ উইকেট ঝুলিতে ভরেন মোস্তাফিজ।