
ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের শৈলকূপার বিভিন্ন কলেজে একাদশ শ্রেণির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং রকেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রতি ছয় মাস পরপর এ টাকা পাওয়ার কথা।
শৈলকূপার জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ বলেন, একাদশ শ্রেণির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে তাদের কলেজের ৫৭ শিক্ষার্থী উপবৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। ছয় মাস পরপর একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এক হাজার ৭৫০, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা এক হাজার ৩০০ এবং স্নাতক পর্যায়ে চার হাজার ৯০০ টাকা করে উপবৃত্তি পেয়ে থাকে। এসব শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্ট খুলতে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ফরমে সব তথ্য দিয়ে ঝিনাইদহ রকেট অফিসে পাঠানো হয়।
রকেট কর্তৃপক্ষ তা সচল করে ফের তাদের কাছে পাঠায় এবং এসব তথ্য-প্রমাণ কলেজে রক্ষিত।
চলতি মাসের প্রথম দিকে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠালেও তাদের কলেজের ৫৭ শিক্ষার্থীর ২১ জনই টাকা পায়নি। এর আগে স্নাতক পর্যায়ের ১৮ শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা পায়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরে রকেট অফিসে ওই তালিকা পাঠালেও এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া মেলেনি বলে জানান তিনি। বিভিন্ন কলেজে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বলে জানা গেছে।
জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী একরাম হোসেন, তামিম হোসেন, সাবিহা, রোমানা জানায়, তারা উপবৃত্তির টাকা পায়নি। গোপন নম্বর দিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, তাদের অ্যাকাউন্ট সচল করা হয়নি।
জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সুব্রত কুমার মলিল্গক জানান, তারা কলেজ থেকে কোনো ভুল তথ্য রকেট অফিসে পাঠাননি।
শৈলকূপা সিটি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, তার কলেজের বেশ কিছু শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা পায়নি বলে তাকে জানান। শেখপাড়া দুঃখি মাহমুদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুর রহমান শাহীন বলেন, উপবৃত্তির টাকা পায়নি এমন কয়েক শিক্ষার্থী তার কাছেও এসেছিল।
ঝিনাইদহ ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অনলাইন ব্যাংকিং রকেটের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্ট খোলার সময় হয়তো মোবাইল নম্বর ভুল দিয়েছে, যার কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
শৈলকূপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে জানালে তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।