অনেক অশ্লীল কর্মকান্ড আমাদের চোখের সামনে পড়ে
সাধারণত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী হলসমূহ সন্ধ্যা ৬টায় বন্ধ হয়ে যায়। তবে শীত এবং গৃীষ্মকালে কিছুটা সময় বৃদ্ধি বা কমানো হয়। আবার যেসব ছাত্রী কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ হতে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার বাসে ক্যাম্পাসে আসে, তাদেরকে আবার দ্বিতীয় মেয়াদে হলে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়।
ছাত্রী হলগুলোতে সন্ধ্যার পর জরুরী কাজ এবং এ্যাম্বুলেন্সযোগে মেডিকেলে গমন ছাড়া কোন ছাত্রীর হলের বাইরে অবস্থান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু অনেক ছাত্রীকে দেখা যায় সন্ধ্যার পরেও ক্যাম্পাসে সাড়ে আটটার বাসের জন্য অপেক্ষা করতে। উদ্দেশ্য কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ হতে ছেড়ে আসা রাত সাড়ে আটটার বাসে হলে প্রবেশ।
এ মধ্যবর্তী সময়ে তাদের মুক্ত বাংলা, মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরাল, শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, ভিসির বাংলো সহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়। এসময় তারা সুযোগ পেয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। প্রগতিশীলতা চর্চার নামে এসব শিক্ষার্থীরা অশ্লীল, নোংরা, অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে পড়ে।
বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে বুধবার সকালে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুরর রহমান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিকারের লক্ষ্যে একটি স্ট্যাটাস দেন।
স্ট্যাটাসে লেখা ছিলো, ‘আজ থেকে ইবি প্রক্টরিয়াল বডির নজরদারী, রাতে মেয়েদের হল প্রবেশের নির্ধারিত সময়ের পর ক্যাম্পাসে অবস্থান করেও হলে প্রবেশ না করে কারা বাজার টিপের গাড়ীর জন্য অপেক্ষায় থাকেন? উক্ত সময়ের গাড়ীগুলো মেইন গেট হতে হল গেট পর্যন্ত কোন মেয়েকে না উঠানোর জন্য পরিবহন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
তার স্ট্যাটাসের পরপরই সচেতন শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করে বিভিন্ন ধরনের কমেন্ট করেন। আরমান রেজা জয় নামের এক শিক্ষার্থী তার কমেন্টে উল্লেখ করেন, সুযোগের অসাধু ব্যবহার রুখতে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ, ধন্যবাদ স্যার।
মাইনুল ইসলাম নাঈম তার কমেন্টে উল্লেখ করেন, অনেক অশ্লীল কর্মকান্ড আমাদের চোখের সামনে পড়ে, কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারিনা। প্রশাসন নীরব, কবিও নীরব।
আরেক শিক্ষার্থী আক্তার হুসাইন আজাদ বলেন, স্যার আপনার মহৎ উদ্যোগগুলো ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর বাহবা পায়, ১৫ জনের মন পায়না। স্যালুট স্যার যুগোপযুগী সিদ্ধান্তের জন্য।
এবিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, সামগ্রিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ উদ্যেগ গ্রহন করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস শিক্ষার্থীরা আমাকে এ ব্যাপারে সর্বাত্বক সহযোগীতা করবে।