ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান আমিনুল ইসলাম

ঝিনাইদহের চোখঃ
তিনি হলেন শৈলকুপার উমেদপুর ইউনিয়নের লক্ষণদিয়া গ্রামের সন্তান আমিনুল ইসলাম। তিনি একজন সূচি শিল্পী এবং বৃক্ষপ্রেমি হিসেবে সুপরিচিতি পেয়েছেন। মানুষের বিচিত্র শখ থাকে। সাধারণত গ্রামের মেয়েরা সূচি শিল্পী বা সুই সূতার কাজ করে থাকেন।
কিন্তু আমিনুল ইসলাম স্কুল জীবন থেকেই এই শিল্পের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। রুমাল সেলাই থেকে শুরু করে পাঞ্জাবী, শাড়ীর নানা ডিজাইনের কাজ করতেন। এগুলোই তার পিছনের গল্প।
আমিনুল ইসলামের জন্ম ১৯৬৭ সালের ২ মার্চ। তিনি দেশের ক্রাফট পন্যের বড় প্রতিষ্ঠান আড়ং এর একজন প্রডিউসার। তার তত্ত্বাবধানে ১৭ টি জেলায় কমপক্ষে ২০০০ নারী পুরুষ বাংলা সেলাই নামে এই সূচি শিল্পের কাজ করেন। যারা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়েছেন পাশাপাশি তাদের হস্তশিল্প দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক ভাবে সমাদৃত হচ্ছে। এগল্পটি আর নয়। এটির মাধ্যমে তিনি নিজের জীবন জীবিকা এবং অন্যের জীবন-জীবিকার সচ্ছলতা এনেছেন।
আমিনুল ইসলামের আর যে গল্পটি বলা প্রয়োজন তা হলো তিনি একজন বৃক্ষপ্রেমি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। নিজের গ্রামের বাড়িটিকে এবং ঢাকার ছয়তলা বাড়িটিকে গাছ বাড়ি হিসেবে গড়ে তুলেছেন। আপনারা ছবিগুলো দেখলেই অনুমান করতে পারবেন।
তাঁকে এদেশের ছাদ বাগানের পথিকৃত বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে নানা প্রতিবেদন প্রকাশিত প্রচারিত হয়েছে।
এসব কাজের জন্য তিনি ইতিমধ্যে ২০১৭ সালে পেয়েছেন এস এম সুলতান সম্মাননা, ২০১৮ সালে সোনারং তরুছায়া বৃক্ষ উৎসব ২০১৮ সম্মাননা। এই বৃক্ষপ্রেমি আমিনুল ইসলাম নিজ গ্রামে পাঁচ শতাধিক কৃষ্ণচূড়া রোপন করেছেন, নিজ গ্রামে ৮ বিঘা জমিতে নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন মনোহারী বাগান। যা দেখতে প্রতিদিনই তাঁর বাড়িতে মানুষের সমাবেশ ঘটে।
শৈলকুপার এই কৃতি মানুষ আমিনুল ইসলামকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমরা তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।