শৈলকুপা

ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান স্থপতি রবিউল হুসাইন

#ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের রতিডাঙ্গা গ্রামের কৃতী সন্তান বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য কবি, স্থপতি ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হুসাইন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতি জাদুঘরের জন্য ১৫ কোটি টাকা গত বুধবার (২৮ আগস্ট) অনুদান গ্রহণ করেন।

সারাদেশে স্থপতি ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হুসাইনের অনেক কাজ ছড়ানো-ছিটানো আছে। এর মধ্যে বার্ক বিল্ডিং তার প্রিয় একটি কাজ। এটার বৈশিষ্ট্য হলো- সব কিছু ইটের তৈরি। ছাদে আড়াআড়ি ইট দিয়ে আর মাঝখানে রড দিয়ে ঢালাই করা। সিঁড়িও তাই। সেজন্য এটা তার খুব পছন্দের কাজ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তি ও স্বাধীনতা তোরণ (নীলক্ষেত অংশে) ডিজাইন তার। তিনি অনেক ব্রিকের (ইটের) কাজ করেছেন। বিশ্বব্যাংকের একটা কৃষিভিত্তিক প্রজেক্ট করেছিলেন তিনিই। ওটাকে বলে ‘ব্রিক ভল্ট’। সাত’শ জায়গাতে এটা রিপিট হয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট, কিছু বিল্ডিং, ভাসানি হল, বঙ্গবন্ধু হল, শেখ হাসিনা হল, খালেদা জিয়া হল, দেশের সবচেয়ে উঁচু শহীদ মিনার, কিছু কিছু হাউজিং ও একাডেমিক বিল্ডিং ডিজাইন তার হাতেই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া সায়েন্স কমপ্লেক্সও তিনিই করেছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়াম ও একাডেমিক ভবন কমপ্লেক্স স্থপতি রবিউল হুসাইনের। হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের একটা ভবনের কাজ চলছে। দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট, বিকেএসপি, দিনাজপুরের এইট লেন্থ সুইমিং পুলসহ কমপ্লেক্স করেছেন। সাভার বিকেএসপির শুটিং রেঞ্জের ডিজাইন করেছেন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটির ডিজাইন তার। তিনটা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ডিজাইন তার। দেশের জন্য। দেশের স্থাপত্য-শিল্পের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্রের ট্রাস্টি, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির নির্বাহী পরিষদ সদস্য, শিশু কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় কচি কাচার মেলার যুগ্ম পরিচালক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ট্রাস্টের নির্বাহী সদস্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের পরিচালনা বোর্ডের সদস্য, বাংলা একাডেমির জীবন সদস্য, সহযোগী সদস্য কলকাতা আন্তর্জাতিক শিল্প- সাহিত্য ও সংস্কৃতি ফাউণ্ডেশন, সভাপতি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্রিটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, সাহিত্য পত্রিকা “প্রাঙ্গণ” এর উপদেষ্টা, সদস্য আই এ বি, সদস্য রাজউক, সাবেক সভাপতি স্থপতি অ্যালামনাই পরিষদ, সাবেক সভাপতি (দুবার) জাতীয় কবিতা পরিষদ, সাবেক সভাপতি (চারবার) বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইএবি) সহ বহু প্রতিষ্ঠানের নানা পদ তিনি অলংকৃত করেছেন।

কবি রবিউল হুসাইনের অনেকগুলো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বাংলা একাডেমি পুরুস্কারসহ নানা পুরুস্কারে ভূষিত হয়েছেন। কাঁচেরকোলে জন্ম নেয়া এই কৃতি মানুষটির জন্য আমরা গর্বিত। তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button