ক্যাম্পাস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নূন্যতম যোগ্যতায় পোষ্য ভর্তির দাবি কর্মকর্তাদের

অনি আতিকুর রহমান, ইবি, ঝিনাইদহের চোখঃ

পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনের নূন্যতম যোগ্যতা থাকলেই ভর্তির ব্যবস্থা করাসহ ১৩দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় (ইবি) কর্মকর্তা সমিতি। সোমবার সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মবিরতি পালন করেন বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারা।

জানা যায়, চাকরি অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি, কর্মঘণ্টা কমানো, বেতনস্কেল সংশোধনসহ মোট ১৩দফা দাবিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন করে আসছে বিশ^বিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারা।

এরপর থেকে দাবি আদায়ে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়ে যান তারা। তবে সর্বশেষ প্রশাসনের আশ^াসে গত বছরের শেষের দিকে আন্দোলন স্থগিত করে কর্মকর্তা সমিতি। পরে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পুণরায় আন্দোলনে নামেন তারা।

কর্মকর্তা সমিতির দাবিগুলোর মধ্যে, অফিস সময় ৯টা থেকে সাড়ে ৪টার পরিবর্তে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা করা, চাকরি অবসরের বয়সসীমা ৬০ থেকে ৬২ বছরে উন্নীতকরণ, উপ-রেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের বেতন চতুর্থ গ্রেড এবং সহকারী রেজিস্ট্রার ও সমমানের কর্মকর্তাদের বেতন ষষ্ঠ গ্রেড করা।

শাখা কর্মকর্তা হতে উপ-রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে মোট চাকুরিকাল ১০বছর করা, বিশ^বিদ্যালয়ের কল্যাণ তহবিলের অর্থ প্রচলিত ৩টি বেতন ভাতার পরিবর্তে ১৫টি বেতন ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা, পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে নূন্যতম আবেদনের (ভর্তি পরীক্ষা) যোগ্যতা থাকলেই ভর্তির ব্যবস্থা করা উল্লেখযোগ্য।

এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি শামছুল ইসলাম জোহা বলেন, ‘সাধারণ সভার সিন্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আন্দোলন করছি। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও আমাদের দাবি আদায় না হওয়ায় আমরা কর্মবিরতি পালন করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যহত থাকবে।’

পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে নূন্যতম আবেদনের যোগ্যতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এক আর অন্যদের ক্ষেত্রে আরেক শর্তের বিরোধিতা করেছি আমরা। আমরা দাবি জানিয়েছি, বিশ^বিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনের নূন্যতম যোগ্যতা থাকলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের ভর্তির ব্যবস্থা করা।’

এ বিষয়ে উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘কর্মকর্তাদের আন্দোলনের দাবিগুলো বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সাথে সাংঘর্ষিক না হলে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেটি অবশ্যই বিবেচনা করবে।’ পোষ্য কোটাদের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে একটি নূন্যতম যোগ্যতা নির্ধারণ প্রয়োজন। তা না হলে ভর্তির পর ওই শিক্ষার্থীই বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হবে। ফলে আমরা বিষয়টি বিবেচনায় করেই শর্ত শিথিল করেছিলাম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button