টপ লিডশৈলকুপা

শৈলকুপা বিদ্যুতবীহিন ১০ ঘন্টা, জনজীবন অতিষ্ঠ

এম হাসান মুসা, ঝিনাইদহের চোখঃ

বিদ্যুৎ লাইন পরিস্কার করতে গাছ কাঁটার অজুহাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ওজোপাডিকোর আওতাধীন এলাকা ১০ ঘন্টা বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন থাকায় জনভোগান্তি চরমে উঠেছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতাল, ক্লিনিক, অফিস আদালত ও কলকারখানায় স্থবিরতা নেমে আসে। পচে নষ্ট হয়েছে বাসা বাড়ির খাদ্য সামগ্রী। হাসপাতাল ক্লিনিকে অনেক রুগী চিকিৎসা নিতে এসে বিদ্যুতের অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে না পারায় ফিরে যেতে দেখা গেছে। পৌর এলাকার আউশিয়া গ্রামের গৃহীনি সাবিনা ইয়াসমিন জানান সারাদিন বিদ্যুত না থাকায় রেফ্রিজারেটরের সমস্ত খাবার পচে নষ্ট হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ছাড়া কাজের নামে খোরা অজুহাতে সারাদিন বিদ্যুত বন্ধ রাখা ঠিক না। ৯নং মনোহরপুর ইউনিয়নের হিতামপুর গ্রামের গৃহিনী ফরিদা পারভিন জানান তার বাড়িতে শুক্রবার একটি দাওয়াতের অনুষ্ঠান ছিল কিন্ত শনিবার সারাদিন বিদ্যুত না থাকায় তিনি চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলেন। শৈলকুপা বাজারের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান শনিবার শৈলকুপা হাটবার। সারাদিন বিদ্যুত না থাকায় তারা ডিজিটাল কাটায় ওজনে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন।

কবিরপুরর শামীম (প্রা:): হাসপাতালের ম্যানেজার এনামুল হক জানান সকাল ৮টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুত না থাকায় তারা সারাদিন চিকিৎসা সেবা দিতে পারেননি। শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শাহীন আক্তার পলাশ জানান শনিবার সকাল থেকে সারাদিন শৈলকুপা শহর সহ ওজোপাডিকোর আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় তারা কোন সংবাদ পাঠাতে পারেননি।

শৈলকুপার রাইস মিল মালিক মুন্সি বদরুজ্জামান জানান কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ ছাড়া গাছ কাটার অজুহাতে সারাদিন বিদ্যুৎ বন্ধ এটা ঠিক না। শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরে আবাসিক ডাক্তার রাকিব উদ্দিন জানান সকাল থেকে সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকায় তারা অন্ধকার রুমে বসে রুগী দেখেছেন। তাছাড়া বিদ্যুতের অভাবে অন্যান্য চিকিৎসা সেবা দিতে পারেননি তারা।

সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকায় এ নিয়ে শৈলকুপা ওজোপাডিকোর আবাসিক প্রকৌশলী শামীম শরিফ জানান বিদ্যুৎ লাইনের আশপাশের গাছ পরিস্কার করার জন্য তারা সারাদিন বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ রেখেছিলেন। শনিবার বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে এ ব্যাপারে শুক্রবার মাইকিং করে জন সাধারনকে জানানো হয়েছিল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button